JAR SHOP — Explore by Category

Premium JAR TEA, NISSUL, and other products — available nationwide.

Blog

  • Shab E-Barat

    শবে বরাতের ফজিলত

    আজ পবিত্র শবে বরাত। ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ অর্থ মুক্তি। আজ সেই মুক্তির রাত বা ‘লাইলাতুল বরাত’। হিজরি সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পরিচিত। এই রাতে বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন মহান আল্লাহ তাআলা।

    মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।

    পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।

    কোরআনুল কারিমে এসেছে, ‘হা-মিম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে; নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে, নিশ্চয়ই আমিই দূত পাঠিয়ে থাকি।’ (সুরা-৪৪ দুখান, আয়াত: ১-৫)। মুফাসসিরিনগণ বলেন: এখানে ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ বা বরকতময় রজনী বলে শাবান মাসে পূর্ণিমা রাতকেই বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে মাজহারি, রুহুল মাআনি ও রুহুল বায়ান)। হজরত ইকরিমা (রা.) প্রমুখ কয়েকজন তাফসিরবিদ থেকে বর্ণিত আছে, সুরা দুখান–এর দ্বিতীয় আয়াতে বরকতের রাত বলে শবে বরাতকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরিফুল কোরআন)।

    বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বেশ ঘটা কর শবে বরাত পালন করার রেওয়াজ আছে বহুকাল ধরে। তবে শবে বরাতের সময় যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয় সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা বিতর্ক দেখা যায়। শবে বরাত পালন করা উচিৎ কী না, ইসলাম ধর্মে শবে বরাতের কোনো তাৎপর্য আছে কী না, বা শবে বরাতের কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে কী না – এসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক চোখে পড়ে।

    ইসলামের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা ব্যক্তিদের মতে মুসলিমদের মধ্যে শবে বরাত পালনের প্রথা শুরু হয় ইসলাম ধর্মের উৎপত্তির সময় থেকেই।

    “নবী হযরত মুহাম্মদ শাবান মাসের ১৪ তারিখ যে সারা রাত নফল নামাজ পড়তেন ও কবরস্থান জিয়ারত করতেন, তা অনেক হাদিসেই বর্ণিত রয়েছে। পনের দিন পর রমজান মাস শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে তিনি এই আচার পালন করতেন এবং তার অনুসারীদেরও পালন করতে বলতেন”,

  • Tea Benefits চায়ের উপকারিতা

    চা চিরসবুজ উদ্ভিদ প্রজাতি , চা শুকানো পাতা থেকে তৈরি হয়। চা জনপ্রিয় পানীয়। চা বাংলাদেশে মূলত একটি কৃষিভিত্তিক, রপ্তানিমুখী, বহুবর্ষজীবী ফসল। চা সাধারণত সুগন্ধযুক্ত, প্রশান্তিদায়ক ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরনের উষ্ণ পানীয়, যা অনেকেই উপভোগ করে। ক্লান্ত দেহে যখন অলসতা এসে বাসা বাঁধে তখনই এই আলস্য দূর করতে চাই এক কাপ চা। ইংরেজিতে চা-এর প্রতিশব্দ হলো টি (TEA)। গ্রিকদেবী থিয়ার  নামানুসারে এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল। চীনে ‘টি’-এর উচ্চারণ ছিল ‘চি’। পরে হয় যায় ‘চা’।

    বাংলাদেশে চা শিল্পের বিকাশে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে। তিনি ৪ জুন  ১৯৫৭ সাল হতে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসাবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থেকে বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেন। শেখ মুজিবুর রহমান চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন চা চাষাবাদ, কারখানা উন্নয়ন, অবকাঠামো ও শ্রমকল্যাণের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও কার্যকর উদ্যোগের ফলে চায়ের উৎপাদন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে এদেশে চা শিল্পের ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়।
    চা পুষ্টিগুণাগুণ
    স্বাস্থ্য রক্ষায় চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিগুণ সামান্য হলেও এতে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যেমন- পলিফেনলস, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ক্যাটেচিন। পলিফেনলস এবং ক্যাটেচিন ফ্রি রেডিক্যালস তৈরিতে বাধা দেয় এবং কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। একারণে চা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চায়ে উপস্থিত পলিফেনলসের পরিমাণ ২৫% এরও বেশি যা দেহের অভ্যন্তরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    চায়ে ৭% থিওফাইলিন ও থিওব্রোমিন রয়েছে যা শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির জন্য অনেক উপকারী। চা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হলেও এতে রয়েছে ক্যাফেইন নামক উত্তেজক পদার্থ। সাধারণত এক কাপ চায়ে রয়েছে (৩০-৪০) মিলিগ্রাম ক্যাফেইন এবং এক কাপ কফিতে এর প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ (৮৫ মিলিগ্রাম) ক্যাফেইন রয়েছে। বস্তুত ক্যাফেইনের কারনেই ঘুম কম হওয়া,হজমে ব্যঘাত ঘটা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তবে এই ক্যাফেইনের কিছু ভালো দিকও রয়েছে। এটি হৃদপিণ্ড ও দেহের অন্যান্য পেশি সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
    চা খাওয়ার উপকারিতা
    যেহেতু চা আমাদের প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনের নিত্যসঙ্গী, সেহেতু এই চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু উপকারী এবং কতটুকু ক্ষতি করছে তা জানা অত্যাবশ্যক।
    চা পানের উপকারিতা এবং অপকারিতা
    ফিগার ঠিক রাখতে অনেকেই গ্রীন টি-এর প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। গ্রীন টি প্রথমে ছিল ওষুধ, তারপর পানীয়তে পরিণত হয়েছে। জাপানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে দুই কাপের বেশি গ্রিন টি পান করেন তারা          মানসিকভাবে অনেক বেশি ফিট। সবুজ চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন খনিজ উপাদান যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন। নিয়মিত সবুজ চা পান করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও কিছুটা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও কিডনি রোগের জন্য উপকারী। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। পোকামাকড় কামড়ালে যদি ঐ স্থান চুলকায় ও ফুলে যায় তাহলে সবুজ চায়ের পাতা দিয়ে ঢেকে দিলে আরাম বোধ হয়। রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।

    বিভিন্ন প্রকার চায়ের গুণাবলী
    ১. আদা চা : আদা চা খুবই উপকারী। বিশেষ করে সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে এটি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। গরম আদা চা পান করলে গলাব্যথা কমে যায়। এসিডিটির বিরুদ্ধেও আদা চা কাজ করে। আদা চা পান করলে হজমের সমস্যা কমে। চায়ের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন দূর করার নাম হল ‘টিটক্স’। ক্লান্ত লাগলে বা সর্দি-কাশি হলে আমরা আদা চা খেয়ে থাকি। লেবু চা-লেবু দিয়ে বানানো রং চা | মশলা চায়ের মধ্যে আমরা লেবু চা , আদা চা, এলাচ চা |

    ২. দুধ চা : ক্লান্তি দূরীকরণে খুবই কার্যকর। নিয়মিত চা ও কফি পানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। চা বা কফি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৫ গুণ কমিয়ে দেয়। এছাড়া এ সময় স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ানো বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে।
    ৩. লাল চা : এর মধ্যে থাকা ট্যানিন , ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমণ ও অন্ত্রের প্রদাহ থেকে প্রতিরোধ করে দেহকে সুরক্ষা রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় লাল চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা ট্যানিন ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। হজম ভালো করে এর মধ্যে থাকা ট্যানিন হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে। লাল চা অন্ত্রের প্রদাহ প্রতিরোধেও কাজ করে।
    গবেষণায় বলা হয়, লাল চা খাওয়া কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের জারিত হওয়া প্রতিরোধে কাজ করে। নিয়মিত লাল চা খেলে হৃৎপিন্ড ভালো রাখে।
    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের ক্ষয় তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা ফ্লোরাইড মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
    লাল চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেক্টাল, জরায়ুর ক্যানসার, ফুসফুস ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এটি স্তন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার ও পাকস্থলীর ক্যানসারও প্রতিরোধে কাজ করে।
    গ্রিন টি
    যদি চা খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে দিনের মধ্যে ২ কাপ গ্রিন টি আর চিনি ছাড়া লিকার চা খান। এতে শরীর থেকে ডিটক্সিফিকেশন ভাল হবে সেই সঙ্গে চায়ে থাকা পলিফেনলস টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সব সময় ভাল এই চিনি ছাড়া লিকার চা। চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিপাকে সাহায্য করে।

    চায়ের অসাধারণ উপকারিতা / জাদুকরী উপকারিতা / চুমুক দিলেই মিলবে উপকারিতা
    ১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
    ২) ক্যাফেইন-এর পরিমাণ কম থাকে
    ৩) হার্টকে ভালো রাখে
    ৪) ক্যানসার প্রতিরোধ করে
    ৫) মাইগ্রেন-এর কষ্ট কমায়
    ৬) নার্ভ-কে শান্ত করে
    ৭) যন্ত্রণা কমায়
    ৮) ইউ ভি রেডিয়েশনের হাত থেকে বাঁচায়


    অতিরিক্ত চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
    ১. চায়ের ক্যাফেইন ঘুমের চক্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত চা পান ঘুমের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
    ২. চায়ের মধ্যে থাকা থিওফাইলিন নামে একটি রাসায়নিক উপাদান শরীরে ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে যেটা হজমে সমস্যা তৈরি করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
    ৩. ঘুমে সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে উদ্বেগ ও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
    ৪. গর্ভবতী নারীদের চা পান সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত। চা-তে উপস্থিত ক্যাফেইন ভ্রুণের বিকাশে বাধা প্রধান করতে পারে যেটা পরবর্তীতে গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
    ৫. চায়ের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো অতিরিক্ত চা পান প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা চা পান করে না এবং যারা প্রচুর চা পান করে তাদের মধ্যে অতিরিক্ত চা পানকারীদের প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
    ৬. হৃদপিন্ডের জন্য ক্যাফেইন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যাদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে বা যারা হৃদরোগ থেকে আরোগ্য লাভ করছেন তাদেরকে চা এড়িয়ে চলা উচিত।
    চা সম্পর্কে ভুল ধারণা
    চা সম্পর্কে আমাদের অনেকের ভুল ধারণা আছে। যেমনঃ চা খেলে রাতে ঘুম আসে না, চা লিভারের ক্ষতি করে, চা চামড়া কালো করে ইত্যাদি। যদিও চা খেলে গায়ের রং কালো হবে না। কারণ ত্বকের রঙ নির্ভর করে ম্যালানোসাইট কোষের সক্রিয়তার উপর। চা পান করলে লিভারের কোন ক্ষতি হয় না। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে, অতিরিক্ত চা পান করলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হবে। যেমনঃ অবসাদ ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
    সঠিক সময়ে চা পান
    সঠিক সময়ে বা উপায়ে চা পান না করলে তা শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটায়। উপকারিতার পাশাপাশি শরীরে অন্য খাবার গুলো থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত এবং হজমে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পান করা উচিত না। এতে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো হতে পারে।
    ১. চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে। কারণ চা বা কফিতে রয়েছে পলিফেনল নামক উপাদান যা আয়রন শোষণ করে বা জেস্টানিনরে সঙ্গে আয়রন মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
    ২. চা শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ।
    ৩. চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শোষণ করে এবং শরীর এই খাবারগুলোকে হজম করতে পারে না।
    কিছু নিয়ম মেনে চললে চা পানের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। যেমনঃ
    ১. খাবার খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে চা পান করা।
    ২. সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরে চা বা কফি পান করা।
    ৩. যাদের হজমে ও অম্লত্ব বা এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদেরও এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
    চায়ের সাথে দুধ মেশানো ভালো না খারাপ?
    চায়ে এমন অনেক সক্রিয় উপাদান আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে। চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে। চা ইমিউন সিস্টেম বা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে, রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, কোষের ক্ষতি কমায় এবং কারডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে। কিন্তু চায়ের মধ্যে দুধ মিশ্রিত করলে ভাস্কুলার সিস্টেম এর উপর উপকারী প্রভাব কমে যায়।

    রং চা না দুধ চা
    বিশ্বজুড়ে ছোট–বড় সবার কমবেশি পছন্দের অন্যতম পানীয় চা। বিশ্বজুড়ে নানা রকম চা উৎপাদিত হয়। বিভিন্ন উপায়ে চা প্রক্রিয়াকরণ করা হয়, যার ওপর নির্ভর করে এর গুণাগুণ। যেমন কালো চা (Black Tea), সবুজ চা (Green Tea), ইষ্টক চা, উলং (Olong) বা ওলোং চা ও প্যারাগুয়ে চা। এ ছাড়া সাদা চা (White Tea), হলুদ চা, পুয়ের চাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের হারবাল চা রয়েছে। (White tea, Yellow Tea , Green Tea , Oolong Tea , Fermented Tea)

    চা অনেক আগে থেকেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বলা হয়, চা পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে, দেহের কোষের ক্ষয় রোধ হয়। চা যেমন হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়, তেমনি আবার ক্যানসার প্রতিরোধেও এর ভূমিকা রয়েছে।

    চিকিৎসকদের মতে, যাঁরা নিয়মিত চা খান, তাঁদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন যে দুধ চায়ের চেয়ে রং চা শরীরের জন্য বেশি উপকারী।

    ডায়াবেটিসে চা খাওয়ার উপকারিতা । Tea in Diabetes control
    নিম্ন গ্লাইসেমিক সূচক + গ্লাইসেমিক লোড) (Low Glycemic index ও Glycemic load) :
    চিনি ছাড়া লিকার চা খেলে প্রাথমিক ভাবে আপনার Blood sugar এর কোন পরিবর্তন হবে না , Diabetes control এ সমস্যা হবে না ।
    কম ক্যালোরি (Low Calories) : আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।
    কম সোডিয়াম (Low Sodium): রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনি অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন ।কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট (Low Saturated Fat):কোলেস্টেরল না বাড়লে Diabetes control এও আপনার সুবিধা হবে ।উচ্চ বিরোধী ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য (High Anti Diabetic Properties) : চায়ের অন্যতম উপাদান হলো ক্যাফেইন । চায়ের ক্যাফেইন আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাঁধা হতে পারে । White Tea , Yellow Tea ও Green Tea তে ক্যাফেইন প্রায় একই থাকে , ১০০ গ্রামে ১২ মিলিগ্রাম । Oolong Tea তে ক্যাফেইন থাকে ১৬ মিলিগ্রাম । Black Tea তে ক্যাফেইন সব থেকে বেশি – ১০০ গ্রামে ২০ মিলিগ্রাম ।
    এছাড়া চা থেকে সামান্য Anti Diabetic Mineral ও Vitamin পাবেন । অর্থাৎ ক্যাফেইনের জন্য কিছুটা সমস্যা থাকলেও Antioxidant এর প্রাচুর্য্যতার জন্য ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের খাবারের শর্ত চা খুব ভালো ভাবে পূর্ণ করল । সব থেকে ভালো চা White Tea , Yellow Tea , Green Tea । Oolong Tea মাঝারি । সব থেকে খারাপ চা Black Tea ।
    অনেকগুলি গবেষণা থেকেও দেখা যাচ্ছে যারা দীর্ঘ দিন ধরে চিনি ছাড়া লিকার চা খেলে Type 2 Diabetes যেমন প্রতিরোধ হয় তেমনি যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের Diabetes control এ সুবিধা হয় ।
    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সুফল পেতে চাইলে আপনি দিনে সর্বাধিক ৬ কাপ চিনি ছাড়া Green Tea ও ৫ কাপ চিনি ছাড়া Black Tea খেতে পারেন ।
    ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যতালিকায় লেবু চা :
    একদিকে চায়ের খুব বেশি পরিমানে Antioxidant ও পাতিলেবুর Vitamin C , Magnesium ও Zinc আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত সাহায্য করবে । অর্থাৎ লেবু চা সাধারন চা থেকে অনেক ভালো ।
    আপনি চিনি ছাড়া লেবু চা দিনে ৪ থেকে ৫ কাপ খেতে পারেন – চিনি যুক্ত লেবু চা দিনে সর্বাধিক ২ কাপ খেতে পারেন ।
    ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যতালিকায় আদা চা :
    আপনি চিনি ছাড়া আদা চা দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ খেতে পারেন – চিনি যুক্ত আদা চা দিনে ২ কাপ খেতে পারেন ।ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যতালিকায় এলাচ চা :
    আপনি চিনি ছাড়া এলাচ চা সর্বাধিক ৩ থেকে ৪ কাপ খেতে পারেন , চিনি যুক্ত এলাচ চা সর্বাধিক ২ কাপ খেতে পারেন ।

  • British Fashion E-Commerce Firm Appoints Maersk As Strategic Logistics Partner

    ব্রিটিশ ফ্যাশন ই-কমার্স ফার্ম স্ট্র্যাটেজিক লজিস্টিক পার্টনার হিসেবে মারস্ককে নিয়োগ করেছে
    
    

    Maersk will be the strategic logistics partner of ASOS, a British online fashion and cosmetic retailer, for supply chain management.

    Maersk will be the strategic logistics partner of ASOS, a British online fashion and cosmetic retailer, for supply chain management (SCM), according to a new multi-year partnership agreement signed by the two companies.

    Under the agreement, Maersk and ASOS will partner on SCM along with ocean and air services into all fulfillment centres globally.

    ASOS’ four fulfillment centres, two located in the United Kingdom, one in Germany and one in the United States, handled almost 100 million orders in the company’s most recent financial year.

    “Over a short period, ASOS has built a robust strategic relationship with Maersk, bringing together two leading businesses. Together we have continued to focus on driving speed to market, helping us improve our customer proposition and support our continued growth,” commented David Flavell, head of supply chain at ASOS.

    ASOS serves over 26 million active customers in over 200 markets and these customers can shop from a variety of 70,000 products, sourced from nearly 900 of the global and local partner brands and its mix of fashion-led own-brand labels.

    “We first started working with ASOS during the pandemic, when we were able to support the business in a challenging market. This new strategic partnership is a testament to the strength of the relationship we built during that period,” noted Gary Jeffreys, Maersk’s area managing director in UK & Ireland.

    Jeffreys, added, “We can provide a global e-commerce fashion retailer like ASOS with the needed agility, speed and resilience in its supply chain because we are owning and controlling the assets along the transport chain from factory to fulfillment centres.”

  • Matarbari Port

    দেশের প্রথম মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ২০২৬ সালে চালুর আশা

    মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ২০২৬ সালে চালু করার আশা করছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ইতোমধ্যে ড্রইং, ডিজাইন ও টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী জুলাই-আগস্ট মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা জানান প্রকল্প পরিচালক।

    বাস্তবে রুপ পেতে যাচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর।
    আগামী জুন থেকেই শুরু হবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের মূল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ।
    চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাগরপথে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি।
    এখানে এক হাজার ৩১ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হবে এই বন্দর। দূর থেকেই চোখে পড়বে সাগরের নীল জলরাশি।
    আর এর বুক চিরে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর।
    বিশেষ ব্যবস্থায় সাগরে বাঁধ বা ব্রেকওয়াটার তৈরির পাশাপাশি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম খননযন্ত্র ‘ক্যাসিওপিয়া–ফাইভ’ দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে।
    লবণের মাঠ খনন করে বানানো হয়েছে সাগর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের পথ। সেইসাথে কৃত্রিম এই চ্যানেলে যাতে ঢেউ না আসে,
    সে জন্য তীর থেকে সাগরের দুই কিলোমিটার পর্যন্ত দেয়া হয়েছে বাঁধ।

  • Tea production went down last year 2022

    গত বছর চা উৎপাদন কমেছে

    Bangladesh is an important tea-producing country. Tea production in Bangladesh has decreased by nearly 3 per cent year-on-year in 2022.
    According to state-run Bangladesh Tea Board (BTB), nearly 94 million kilogrammes (kg) were produced last year.

    বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ চা উৎপাদনকারী দেশ।
    ২০২২ সালে বাংলাদেশে চা উৎপাদন বছরে প্রায় ৩ শতাংশ কমেছে।
    রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) মতে, গত বছর প্রায় 94 মিলিয়ন কিলোগ্রাম (কেজি) উৎপাদিত হয়েছিল।

    Bangladesh Tea Association, representing tea estates of Sylhet and Chattogram, blamed inadequate rainfall in the first half of 2022 and a halt to production for a few weeks for labour unrest later in the year.
    The year’s target could not be achieved, he said. The target was 100 million kgs, according to the BTB.

  • European Union countries bought clothes worth 19.4 billion dollars from Bangladesh

    In the first 10 months of last year, European Union countries bought clothes worth 19.4 billion dollars from Bangladesh. According to the latest data released by the European statistics agency, Eurostat, between January and October 2022, the European Union imported US$86.74 billion worth of apparel from the world, a year-on-year growth of 24.41 percent.
    
    
    
    গেল বছরের প্রথম ১০ মাসে বাংলাদেশ থেকে ১৯৪০ কোটি ডলারের পোশাক নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) দেশগুলো। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা, ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ২০২২ সময়ের মধ্যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব থেকে ৮৬.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪.৪১ শতাংশ। 
    
    জানুয়ারি-অক্টোবর ২০২২ সালে (January- October 2022), ইইউ বাংলাদেশ থেকে ১৯.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ইইউ এর পোশাক আমদানির জন্য বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক আমদানির উৎসের অবস্থানে রয়েছে। ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৪১.৭৬ শতাংশ বেড়েছে। (41.76)
    
    চীন ২৯.৩৯ শতাংশ  শেয়ার নিয়ে  ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ)European Union (EU) সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম দশ মাসে, চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বছরওয়ারি ২২.৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ২৫.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে, তুরস্ক থেকে আমদানিও বছরওয়ারি ১২.৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি ১০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকে আমদানি ৪.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩.৪৬ শতাংশ। 
    
    অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়া (Cambodia, Vietnam, Pakistan, Morocco, Sri Lanka and Indonesia) থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি যথাক্রমে ৩৯.৬৯ শতাংশ, ৩৩.০৫ শতাংশ, ২৮.৫৫ শতাংশ, ৯.৫৯ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ৩১.৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 
    
    GARMENTS IN BANGLADESH