মুজিব
জেবুন্নেছা ববিন, পাবনা
‘মুজিব ‘ তুমি
চির সবুজ
চির উজ্জীবন
সাহসীনি মায়ের –
রঙ্গিন আঁচলে
তুমি অসীম সাহস।
‘মুজিব ‘ তুমি
অমরত্বের প্রেরণা,
স্বাধীন জীবন, আর-
চির দূর্দমনতার অদম্য চেতনা।
‘মুজিব’ তুমি
কৃষাণের কাস্তেয়,লাঙ্গলের ফলায়
কৃষাণীর হাসি কান্নার মধ্য দুপুর,
মাটির সোঁদা গন্ধের মমতায় –
মাঝির ভাটিয়ালি সুর।
‘মুজিব’ তুমি
অস্তিত্বের ভাস্করে-
হৃদয়ের স্পন্দন ;
আর ধরণীর সবুজ শ্যামলিমায়
সংগ্রামী চেতনার উচ্ছল অভিনন্দন।
‘মুজিব ‘তুমি
এক শাণিত বিবেক
আলোকিত ন্যায্যতা,
আন্দোলিত অধিকারবোধ,
আর জেল জুলুমময় জীবনের সখ্যতা।
‘মুজিব’ তুমি
জেগে উঠার স্বপ্ন বৃক্ষ মূল,
বহু স্বপ্ন ও আকাঙ্খা-
আর প্রত্যাশার প্রস্ফুটিত-
এক বিশাল সূর্যমুখী ফুল।
‘মুজিব’ তুমি
প্রজন্ম ৭১’ এর দ্বিধাহীন স্বপ্নের বহর,
আর তেজোদ্দীপ্ত তাজা খুনের লহর।
মিছিলে মিছিলে প্রতিবাদ প্রতিরোধ,
বিক্ষোভে বিক্ষোভে পরাধীনতার অগ্নিঝরা প্রতিশোধ।
‘মুজিব ‘ তুমি
অসীম সাহসে জেগে ওঠা
সংগঠিত শক্তির স্বকীয় সত্তা ;
লক্ষ যোজন সম্ভাবনার আলোকিত দরজা।
‘মুজিব ‘ তুমি
উঁচু-নিচু, ধনী – গরীব –
সকলেরই আশা,
জাগ্রত চেতনা, আর দেশপ্রেম- ভালোবাসা।
‘মুজিব’ তুমি
মা,মাটি, মানুষের মুক্তির রুপকার,
শোষিত জাতীর ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার।
সারাবিশ্বের জমিনে জমিনে তুমি চির সবুজের সম্ভার।
‘মুজিব’ তুমি
ভীষণ দূর্যোগ ছুঁয়ে যাওয়া আঁধার রাত্রি পেরিয়ে
আচমকা জেগে ওঠা ; হঠাৎ
সাহসী এক আলোকিত সকাল।
যুগে যুগে জন্ম নেয়া মহাপুরুষ ও মহাকাল।
‘মুজিব ‘ তুমি
বিষাক্ত কীটের ঢিপি ভেঙ্গে দেয়া-
শক্ত হাতিয়ার।
অশুভ শক্তির উপদ্রব মুক্ত-
গৃহস্তের নিরাপদ গ্রিল জানালার।
‘মুজিব’ তুমি
নতুন প্রাণের স্বপ্নে আঁকা রামধনু –
আর কাল-কেউটে সাপ নাচানো-
দক্ষ সাপুড়িয়ার বাজানো বেণু।
ভূমিকম্পন, বিস্ফোরণ,
বয়স্ক জড়া- মৃত্যু – ক্ষয়
এর কোনোকিছুই তোমার জন্য নয়।
‘মুজিব ‘ তুমি
মুক্তি চেতনার অধিষ্ঠাতা,
হাজারো পদ্মা, মেঘনা-
যমুনা, সুরমা ঘেরা-
এই স্বাধীন বাংলাদেশটির তুমিই প্রতিষ্ঠাতা।
‘মুজিব ‘ তুমি
অমরত্বের অমরতা,
কোটি কোটি জীবনের না বলা অনেক কথা।
না লেখা অনেক কবিতা আর গান।
উদ্বেলিত স্বাধীনতার সংগ্রামী এলহান।
তুমিই বাঙালি জাতীর পিতা-
শেখ মুজিবুর রহমান।
Nice
Very cute