জাতির মৃত্যু
মোঃ সিরাজ উদ দৌলা ,সাজেদা ফাউন্ডেশন
ফেনী সদর ব্রাঞ্চ
ফেনী।
——— ——————–
১৫ই আগস্ট-
এদিন অঙ্কিত হয়েছে বাঙালি জাতির দুঃখের সংঘৃষ্ট।
বেদনা দগ্ধে ভরে গেছে দেশ, ভরে গেছে ভৃঙ্গার,
থামেনি কান্না আজও তবে; জ্বলে প্রতিশোধের হুঙ্কার।
রক্তের প্রতিটি ফোঁটায় ছিল স্বপ্নের যে আশা
বুঝেনি পাষন্ড সে ঘাতক শহীদের মৃদু ভাষা।
অভিসম্পাত দিয়ে হবেনা ছোট বাঙালি জাতীয় সমাজ
তরবারির আঘাতে কাটবে মুন্ড লও সে সুরের আওয়াজ।
কেন করলি হত্যা ওদের? তোদের করেছে ক্ষতি কী?
তাজা তাজা প্রাণ কেড়ে নিতে ভয়ে কাঁপেনি সে-কি?
মায়ের কোলে বসে বাবার বক্ষে ছুরি দিলি চালিয়ে
কলঙ্কিত সন্তান তুই লুকাসনি আর পালিয়ে।
দিব্যি স্বপ্ন দেখতো বঙ্গপিতা স্বপ্নময়ী সে মানুষ
নিশি অন্ধকারে বসে থেকেও উড়াতো আলোর ফানুস।
মানতো না কোন বাঁধা আর অন্যায় অত্যাচার
যতই বাজিত মরণ বীণা করতো সংরোধে সোচ্চার।
পাক-হানাদার বাহিনীর কাছে কভু হয়নি মাথানত
যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে শত ঝাঁপিয়ে পড়ে কত।
না মেনে বাঁধা রেসকোর্স ময়দানে জমালো এক পাড়া
পিতার ঐতিহাসিক ভাষণে সেদিন গর্জে ওঠে সাড়া।
শত শত বাঙালি তাদের লাঠিসোঠা নিয়ে হাতে
ঘর হতে বেরিয়ে ময়দানে ছুটলো যে তাতে-
প্রতিশোধের নেশায় দাও দাও জ্বলছে তখনি আগুন
সে আগুন নেভেনি তখনো, যখন আসেনি ফাগুন।
দীর্ঘ নয় মাস সংঘর্ষে কাটে দিন-রাত
নিদ্রায় পারেনি যেতে দেখেনি সে প্রাত-
মৃত্যুর মিছিলে জড়ো হতে থাকে একের পর এক লাশ
কী করে ক্ষমা করবো ওদের? যারা আহ্লাদে অভিলাস।
সবিশেষ উঠল ধ্বনি অভিযাত্রীর দলে বইছে সুবাতাস
অভিযোজিত প্রাণ করছে সঞ্চার নিচ্ছে বুকভরা নিঃশ্বাস।
পুনরায় তরতর করে নেমে এল দুর্দিন
বাংলার আকাশে বাতাসে,
ঘাতকদের ষড়যন্ত্রে দিতে হলো পিতার প্রাণ
অশনী’র সেই তাবাসে?
পিতার সাথে ছিল অনেক অনেকগুলো লাশ
আজো পারেনি থামাতে অশ্রু ঝরছে দীর্ঘ বছর মাস।
মৃত্যুর ঘাটে বসে লাশের হিসাব কষে দেখে যারা;
থরথর করে কেঁপে ওঠে বাংলা -কেঁপে ওঠে তারা।
Very cute